পুতিনকে স্বাগত জানালো ভিয়েতনাম, সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার

যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা অগ্রাহ্য করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানিয়েছে ভিয়েতনাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানী হ্যানয়ে ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়। ভিয়েতনামের শীর্ষ নেতারা মস্কোর সঙ্গে তাদের ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বের’ প্রশংসা করেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বৈঠকে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট তো লাম পুনঃনির্বাচনের জন্য পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল সমর্থন পাওয়ার জন্য আমাদের কমরেডকে আবারও অভিনন্দন। এটি রুশ জনগণের আস্থার প্রতীক।
জবাবে পুতিন বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে জোরদার করা রাশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সঙ্গে সংলাপের প্রতি রাশিয়া সম্মান প্রদর্শন করে। ভিয়েতনাম এই জোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পুতিন ভিয়েতনামে পৌঁছান। এশিয়া সফরের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তিনি। এর আগে বুধবার তিনি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছেন।
পুতিনের ভিয়েতনাম সফর মার্কিন সমালোচনার মুখে পড়েছে। গত বছর হ্যানয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করেছে ওয়াশিংটন। বর্তমানে ভিয়েতনামের প্রধান রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, কোনও দেশের উচিত না পুতিনকে তার আগ্রাসী যুদ্ধের প্রচারের জন্য কোনও মঞ্চ দেওয়া।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। রাশিয়া ও ভিয়েতনাম, কেউই আইসিসির সদস্য নয়।
মে মাসে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পর ভিয়েতনাম হবে পুতিনের সফর করা তৃতীয় দেশ। এর আগে তিনি চীন ও উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন। আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর খুব কম বিদেশ সফর করছেন তিনি। ২০১৭ সালের পর প্রথম এবং সব মিলিয়ে এটি পুতিনের পঞ্চম ভিয়েতনাম সফর। তাকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয়েছে।