বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ রোববার: স্থায়ী কমিটি

রিপোর্টার / ৯ বার
আপডেট : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে সোমবার রাতে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়। রোববার এই সমাবেশ হবে। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিগত ১৬ বছরে গুম, খুন ও হত্যার শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবার নিয়ে শনিবার শহিদ মিনারে সমাবেশ হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে কালচারাল কর্মসূচি রয়েছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এক মাস ধরে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বিএনপি তা পর্যবেক্ষণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থানে এখনো সংস্কার হয়নি। এই বিষয়ে বিএনপি সোচ্চার হবে। এইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরা হবে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে ওই বৈঠক। গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সক্রিয় প্রায় সব নেতাই এ দিন উপস্থিত ছিলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকার পতনের তিনদিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বেই আরও ১৯ জন উপদেষ্টা সরকার পরিচালনা করছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত এক মাসের কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কয়েকজন উপদেষ্টার বর্তমান কর্মকাণ্ড ও তাদের বিগত দিনের ফিরিস্তি আলোচনায় উঠে আসে।
কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন উপদেষ্টার পিএসের কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণে আনে বিএনপি। গত এক মাসে ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং সচিব পর্যায়ে প্রশাসনিক যে রদবদল করেছে, সেটাতে আপত্তি তোলেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
জানা যায়, এ ব্যাপারে শিগগিরই বিএনপি তাদের অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরবে। একই সঙ্গে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দাবি জানাবে দলটি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত করেছে। কিন্তু এখনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। নির্বাচনি রোডম্যাপের ঘোষণাও আসেনি।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে এখনো অনেকেই আছেন যারা স্বৈরাচারের সহায়ক শক্তি অথবা দোসর হিসাবে পরিচিত রয়েছে। বিএনপি চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন দ্রুত সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর