রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার যুক্তরাজ্যের

ভয়েস বংলা প্রতিবেদক / ১৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরোধিতা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির একটি প্রধান বাধার অপসারণ হলো। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নতুন লেবার সরকারের ইসরায়েলের প্রতি কঠোর অবস্থানকেও তুলে ধরেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট শুক্রবার নিশ্চিত করেছে যে, সরকার আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর কারিম খান যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করছেন, সেটির বিচারিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবে না।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এখন আইসিসি’র পক্ষে করিম খান-এর অনুরোধ মঞ্জুর করার সম্ভাবনা বেড়েছে। এটি গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিন্দা হবে এবং নেতানিয়াহু বিদেশ ভ্রমণ করলে তাকে গ্রেফতারের ঝুঁকিতে ফেলবে।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ডেপুটি অফিসিয়াল মুখপাত্র বলেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানায় বিরোধিতার প্রস্তাবটি পূর্ববর্তী সরকারের দ্বারা করা হয়েছিল যা নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হয়নি। আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, বর্তমান সরকার এটি করবে না। কারণ এটি আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণভাবে আইনের শাসন এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণের বিষয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। আমি উল্লেখ করতে চাই যে, আদালত ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের অনেকগুলো আবেদন পেয়েছে এবং তারা তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রমাণ পেয়েছে। লেবার সরকার নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবে কিনা সে বিষয়ে কিছু না বলে তিনি বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়।
মে মাসে খান ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি গাজায় যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করছেন। তিনি গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং সামরিক শাখার কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফসহ সিনিয়র হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও পরোয়ানার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মে মাসে খান-এর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। এক মাস পর তার সরকার আইসিসিকে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইসিসি বিচারিক ক্ষমতাকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করবে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সনদ স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তারা আপত্তি বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। দেশ দুটি সতর্ক করে বলেছিল, চাপ বজায় না রাখলে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে লেবার সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করার কথা বলে আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেছিলেন, লেবার পার্টির অবস্থান হলো যে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করার সিদ্ধান্তটি আদালত এবং প্রসিকিউটরের জন্য একটি স্বাধীন বিষয়।
অবশ্য যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে, এখন করিম খানের অনুরোধ আইসিসি মঞ্জুর করবে। যদিও যুক্তরাজ্যের নতুন অবস্থানটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে লেবার সরকারের অধীনে তারা ইসরায়েলের কঠোর সমালোচক হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর