সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

নারী ভক্তকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করল ভণ্ড পীর!

ভয়েসবাংলা প্রতিবেদক / ৩৩৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় কথিত পীর কর্তৃক নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা দায়ের করার পর পীরের সহযোগী সাগর আলীকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কথিত পীর মাসুদ মিয়া (৫০) এখনো পলাতক রয়েছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাগর গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ মিতালী ক্লাব উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ৭-এর আমবাগ অফিসের নৈশ্যপ্রহরী (চৌকিদার) হিসেবে চাকরি করেন। অভিযুক্ত পীর মাসুদ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার সাফর্তা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি পীর পরিচয়ে ও তার সহযোগী সাগর বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ফুঁক দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে মানুষকে তালিমও দেন। ওই পীরের কাছে তালিম নেওয়ার জন্য যান স্থানীয় এক নারী। গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পীরের সহযোগী সাগর ওই নারীকে তালিম নেওয়ার জন্য তার বাসায় ডাকেন। পরে খবর পেয়ে ওই দুই সন্তানকে বাসায় রেখে তার স্বামীকে নিয়ে ভিকটিম নারী সহযোগী সাগরের বাসায় যান। যাওয়ার পর থেকেই ভিন্ন ধরনের হাদিসের বাণীসহ পীরের সবক শুনাতে থাকেন। পরে রাত ১১টার দিকে পীর মাসুদের সহযোগী সাগর ওই ভিকটিম নারীকে একটি পান খেতে দেন এবং তার স্বামীকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান। পান খাওয়ার পর ভিকটিম ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় পীরের সহযোগী সাগর মিতালী ক্লাব এলাকায় তার নিজ বাড়ির উত্তর দুয়ারী আধপাকা ঘরের চৌকিতে নিয়ে ভিকটিম নারীকে শুয়ে রাখেন পীর বাবার জন্য। কিছুক্ষণ পর পীর বাবা গিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকেন। পরে ওই নারীর স্বামী দোকান থেকে ফিরে বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার করতে শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এ সময় সহযোগী সাগর ভিকটিমের স্বামীকে চুপ থাকতে বলে পীর মাসুদকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার ওসি আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর পীরের সহযোগী সাগরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পীর পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।

তিনি আরও জানান, সাগরকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর