শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

নদীর প্রস্থ কমিয়ে বাড়ানো হবে কৃষি জমি

রিপোর্টার / ১৮৮ বার
আপডেট : শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

দেশের বড় নদীগুলোর প্রস্থ কমিয়ে কৃষি জমি বাড়ানো ও বনায়নের কথা ভাবছে সরকার। দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো দিয়ে এমন প্রকল্প শুরু করার কথা রয়েছে। তবে এসব নদীর তীরে কোনও বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলেও জানা গেছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বড় নদী বিশেষ কাজে আসছে না। এগুলোর প্রস্থ কমিয়ে ড্রেজিং করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব। এতে নদীতে পলি জমার সুযোগ থাকবে না। স্রোতে সব পলি সাগরে গিয়ে পড়বে।

মূলত বন্যা হলে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেখতে পেয়েছে, উত্তরাঞ্চলের নদীর গভীরতা কম। যার কারণে পাহাড় ও ভারত থেকে আসা ঢল দেশের নদীগুলোতে উপচে পড়ে। স্রোত না থাকায় পানি গিয়ে বঙ্গোপসাগরেও পড়তে পারে না। যার কারণে দেখা দেয় বন্যা। প্লাবিত হয় তীরবর্তী এলাকাগুলো।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৩-১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত নদীর দরকার নেই আমাদের। প্রশস্ততা কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে নিয়ে আসবো। অপরদিকে ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো হবে। ওই মাটি ফেলা হবে নদীর পাড়ে। যা ব্যবহার হবে কৃষি জমি হিসেবে। এ নিয়ে গবেষণা চলছে। নদীর প্রবাহ ও পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ার জন্য যে ধরনের গভীরতা ও স্রোত দরকার সেটাই রাখার চেষ্টা করা হবে।’

নদীর প্রস্থ কমিয়ে যে সমতল ভূমি হবে সেখানে বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদীর এত কাছে বসতি স্থাপন করা ঠিক নয়। একটু বন্যা হলেই বাড়িঘর তলিয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পের কোথাও বাড়িঘর করতে দেবো না। সব কৃষি জমি হবে।’

সরকারপ্রধান নীতিগতভাবে এই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছেন। এখন প্রকল্পটির নকশা ও বাজেট নিয়ে গবেষণা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২০১৮-১৯ সালের দিকে ব্রহ্মপুত্রকে ঘিরে প্রথম এমন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কুড়িগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ড্রেজিং চলছে। ব্রহ্মপুত্রের কোথাও ১৫-১৬ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটাকেও কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে আনা হবে। এরপর তিস্তা নিয়ে কাজ শুরু হবে।

নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদ বিষয়ক নাগরিক সংগঠন রিভারাইন পিপলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব শেখ রোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক নদীর প্রবাহ ঠিক না থাকায় ভাঙন হচ্ছে বেশি। মানুষ বসতি ও কৃষি জমি হারাচ্ছে। সরকার চাচ্ছে নদীগর্ভ থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করতে। এটা বিশাল কর্মযজ্ঞ।’

/এফএ/এনএইচ/


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর