দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে তাইজুলের ২০০ উইকেট

সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্রিকেটের সূর্য অস্তগামী! প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকায় খেলতে চেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে আসতে পারেননি তিনি। সাকিববিহীন টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। তবে বোলিংয়ে চেপে ধরেছে সফরকারীদের। বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের অভাব বুঝতে দেননি তাইজুল ইসলাম। তার ঘূর্ণিতে প্রোটিয়া ব্যাটাররা খেই হারিয়েছে। সোমবার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউনে অভিষেক তাইজুলের। অভিষেক ম্যাচেই তিনি আলো ছড়িয়েছিলেন। ১০ উইকেটে ম্যাচ হারলেও বাঁহাতি এই স্পিনার নেন ৫টি উইকেট। অভিষেক রাঙানোর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একটু একটু করে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। সোমবার ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ উইকেট ছিল কেবল সাকিব আল হাসানের। ৫৪ ম্যাচ খেলে তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছৈছিলেন। তাইজুলের লাগলো ৪৮ ম্যাচ।
টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে অন্য কোন ফরম্যাটে তাইজুলকে খুব একটা দেখা যায় না। নিয়মিত কেবল টেস্ট ফরম্যাটই খেলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি বছর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বহু আগে। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে আফগানদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। কেবল টেস্ট খেললেও তাইজুল ফোকাস রাখছেন খুব ভালো ভাবেই। এই ফরম্যাটে তার সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে। জবাবে তাইজুলের ঘূর্ণি জাদুতে খেই হারায় প্রোটিয়ারাও। হাসান মাহমুদ প্রথম ওভারে তুলে নেন এইডেন মারক্রামকে। এরপর উইকেটে জমে যাওয়া ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড বেডিংহ্যামের জুটি ভাঙেন তিনি। স্টাবসকে দিয়ে শুরু হয় তাইজুলের উইকেট শিকারের মিশন। একে একে বেডিংহ্যাম, টনি ডি জর্জি ও ম্যাথু ব্রিটজকেকে ফিরিয়ে দুইশ উইকেটের মাইলফলকেও পৌঁছান। তার আগে আছেন কেবল সাকিব। ৭১ ম্যাচে সাকিবের উইকেট ২৪৬টি।
দুইশ উইকেটে ছুঁয়েই থেমে থাকেননি তাইজুল। প্রথম দিন শেষ হওয়ার আগে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাতে ১৩তম বারের মতো ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সবচেয়ে বেশি ১৯ বার ৫ বা ততোধিক উইকেট নেওয়ার কীর্তি সাকিব আল হাসানের।