সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

তারেক রহমানের নির্দেশে প্রতারণার মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রিপোর্টার / ৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ও দলটির স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. আশরাফুজ্জামান মিনহাজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ সম্পাদক মো. ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

মামলার বাদী ইলতুৎমিশ সওদাগর বলেন, “মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে এ প্রতারক হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে তাকে পরবর্তীতে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে স্থান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিষয়টি দলের নজরে আনেন। তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। তার নির্দেশেই মামলা করেছি। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আশরাফুজ্জামান একজন মেধাবী প্রতারক। নিজেকে কখনো কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক, কখনো যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর পরিচয় দিয়ে সম্মান অর্জন করেন। নিজেকে অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর হিসেবে পরিচয় দেওয়া এ আসামির শিক্ষা বিষয়ক ভ্রান্ত ও মিথ্যা পরিচয়ের সূত্র ধরে সমাজে বিত্তশালী লোকের খুব কাছে যাওয়ার সুযোগ হওয়ার পথ ধরেই বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদানের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করাই তার মূল পেশা।

তার প্রতারণার সূচনা হয় ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থনে আওয়ামী সরকারে উত্থানের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালে সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তার জামাতা পরিচয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের চাকরির পদোন্নতি করা, বদলি করা এবং নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সম্পদ অর্জন করে। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরীহ ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদয় করা তার মূল লক্ষ্য হওয়ার ধারাবাহিকতা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জেল হাজতে পাঠান।

আরো বলা হয়, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব পরবর্তীতে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে “বিএনপি” এর স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ক ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সবার কাছে ক্ষমতাধর হিসেবে সমাদৃত করার জন্য বিদেশি সীম দিয়ে ফেইসটাইম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেন। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে বুঝিয়ে ভিকটিমের কাছে আস্থা অর্জন করে অর্থ আদায় করেন। চলতি মাসে আসামি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মামলার ২ নম্বর সাক্ষী মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়কারী ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন এবং তাকে পরবর্তীতে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে স্থান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

পরে দলের সিদ্ধান্ত মতে ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি শেরেবাংলা নগর থানায় যান মামলা করতে। তবে থানা মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করলেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর