আগামী বছর ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমিয়ে অর্ধেক দেবে জার্মানি

আগামী বছর ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা কমিয়ে অর্ধেক করে দেবে জার্মানি। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ফিরলে কিয়েভের জন্য সমর্থন বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিলো জার্মান কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
রয়টার্সের দেখা জার্মানির ২০২৫ সালের বাজেটের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য জার্মান সহায়তা ২০২৪ সালের প্রায় ৮ বিলিয়ন ইউরো থেকে কমিয়ে ২০২৫ সালে তা ৪ বিলিয়ন ইউরো করা হবে।
জার্মানি আশা করছে, গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭-এর ৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে ইউক্রেন তার সামরিক চাহিদার অধিকাংশ মেটাতে সক্ষম হবে এবং নির্ধারিত তহবিলের পুরোটাই অস্ত্রের জন্য খরচ করবে না। রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে এই ঋণ দিতে রাজি হয়েছিলেন জি-৭ নেতারা।
ইউক্রেনকে এখনই একটি বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে ওয়াশিংটন। কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইইউ নেতারা আংশিকভাবে সম্মত হয়েছেন। কেননা, এখনই ঋণ দেওয়া শুরু করলে ট্রাম্প যদি হোয়াইট হাউজে ফিরেও আসেন, ইউক্রেনের তহবিলের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প সিনেটর জেডি ভ্যান্সকে পছন্দ করেছেন, যিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিরোধিতা করেন। জেডি ভ্যান্স সতর্ক করেছিলেন, আত্মরক্ষার জন্য ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ট্রাম্প তাকে পছন্দ করায় চলতি সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে যেন বিপদের ঘণ্টা বেজে উঠলো।
ট্রান্সআটলান্টিক সামরিক জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ দেশগুলোকে রক্ষা করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়াকে সেসব দেশে আক্রমণ করতে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেবেন বলেও জানিয়েছেন। তার এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।
প্রতিরক্ষা খাতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে অর্থনৈতিক উৎপাদনের ২ শতাংশ ব্যয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে। ন্যাটোর এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জার্মানি।