ঢাকা টেস্ট: ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় বোলিংয়ে ঘোচানোর চেষ্টা

চারটা বাজতেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। রাজধানীর উঁচু দালান আর গ্যালারির ফাঁক গলে তখনও মাঠে কিছু রোদ খেলা করছে। ওই ফ্লাডলাইটে মিরপুর স্টেডিয়াম আলোকিত হলেও ঢাকা যায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্ধকার। যদিও আলো স্বল্পতায় খানিক আগেই স্টাম্প হওয়া দিনে বল হাতে তাইজুল ইসলাম আলো ছড়িয়েছেন। তারপরও ৩৪ রানের লিড নিয়ে ঢাকা টেস্টের লাগাম হাতে রেখেছে প্রোটিয়ারা।
টস বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্তর পক্ষে পান। শুরুতে ব্যাট নিতে ভুল করেননি তিনি। তবে একের পর এক ব্যাটিং এপ্রোচে ভুল করেছে নাজমুল ও তার দল। শুরুতেই যেমন ফিরে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। অফ সাইডের বাইরের ফুল লেন্থের বলে শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তার মতো ভুল করে আউট হয়েছেন সেট ব্যাটার মাহমুদুল জয়, লিটন দাস, মমিনুল হকরা। ফলাফল প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ। টেস্টে মিরপুর স্টেডিয়ামে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন পাকিস্তান সফরে গিয়ে ইনজুরিতে পড়ার পর প্রথমবার একাদশে ফেরা ওপেনার মাহমুদুল জয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ক্রিজে থেকে ৯৭ বলের মুখোমুখি হয়ে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। দলের আর কোন ব্যাটার ২০ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি। তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন। ১৩ রান যোগ করেন সাকিবের অভাব পূরণের গুরুদায়িত্ব পাওয়া মেহেদী মিরাজ।
ব্যাটারদের ব্যর্থতার দায় বল হাতে ঘোচানোর চেষ্টা করেছেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদরা। প্রোটিয়া শিবিরে তাইজুল ৫টি আঘাতও হেনেছেন। কিন্তু প্রথম দিন শেষে মিরপুর টেস্টে চালকের আসনে সফরকারীরা। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৪১ ওভার ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তুলেছে।
দলটির হয়ে ওপেনার টনি ডি জর্জি ৭২ বলে ৩০ রানের কার্যকরি ইনিংস খেলেন। তিনে নেমে ত্রিস্তান স্টাবস ২৩ রান যোগ করেন। রায়ান রিকেলটন খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। দিন শেষ করেছেন ব্যাটার কাইল ভারায়েনে। তিনি ১৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন। তার সঙ্গী হবেন ১৭ রান করা পেসার ওয়ান মুলদার।
বাংলাদেশের হয়ে স্পিনার তাইজুল ৫ উইকেট নিয়েছেন। ১৩তম ফাইফারের পথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিতে প্রোটিয়া পেসার ওয়ান মুলদার ও কাগিসু রাবাদা তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাঁ-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। রাবাদা ৬৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন।