শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেল চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী এস আলমের আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি, নতুন করে ‘অতি দরিদ্র’ হবে ৩০ লাখ মানুষ ভারতের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা এবার পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা স্থগিত করল ভারত কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা দেবে কাতার ফাউন্ডেশন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান

ডিসি পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তি পাচ্ছেন ১৭ জন

রিপোর্টার / ২৫ বার
আপডেট : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদায়নকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের রুমে হাতাহাতির ঘটনায় ১৭ উপসচিবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। শাস্তির মুখে থাকা ১৭ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন পুরুষ এবং দুজন নারী কর্মকর্তা আছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে তাদের নাম পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি আটজনকে গুরুদণ্ড, চারজনকে লঘুদণ্ড ও পাঁচজনকে তিরস্কারের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করে। গুরুদণ্ড দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদের বিরুদ্ধে।
লঘুদণ্ডের সুপারিশ থাকা চার কর্মকতা হলেন- হাসান হাবীব, মো. আ. কুদ্দুস, আবদুল মালেক, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল। তিরস্কার করার সুপারিশ থাকা পাঁচজন হলেন মো. সগীর হোসেন, মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেন। ‘তিরস্কার’ লঘুদণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম মাত্রার দণ্ড।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিল। সেটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটার প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, ১৭ জনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনটি পর্যায়ে তিনি সাজেস্ট করেছেন কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আটজনের বিষয় বলা হয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে গুরুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। চারজনের বিষয় বলা হয়েছে তদন্তসাপেক্ষে বিধিবিধান অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। আর পাঁচজনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের শাস্তি ‘তিরস্কার’ দেওয়া যেতে পারে। তাদের সাবধান করা, যাতে ভবিষ্যতে এটা না করে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে দিনভর হট্টগোল করার পর বিকালে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা হট্টগোল করার সময় ডিসি হিসেবে পদায়নের আশ্বাস পেয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর