ট্রাম্প-পুতিনের দেড় ঘন্টার ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বলেছেন। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ফোনালাপ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়।
বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএসকে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ চলেছে দেড় ঘণ্টা ধরে। একই তথ্য দিয়েছে ক্রেমলিনও।
কোনো পক্ষই ফোনালাপের আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন বলেছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে আলোচনা হতে পারে। ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প কথা বলবেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগে পুতিন রাশিয়ার শিল্পপতি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেন। ফোনালাপ শুরুর আগে এক রুশ কর্মকর্তা জানান, রাশিয়ার পক্ষ থেকে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে খনিজ নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ড্যান স্ক্যাভিনো এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলের এক পোস্টে জানান, সকাল ১০টায় (ওয়াশিংটন সময়) দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপটি শুরু হয়। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী তখন মঙ্গলবার রাত ৮টা।
স্ক্যাভিনো লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওভাল অফিস থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলছেন। সকাল ১০টা থেকে তাদের আলোচনা চলছে। কথোপকথন ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে এবং এখনো চলমান।’
ট্রাম্প অবশ্য গত কয়েকদিন ধরেই বলে আসছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ও যুদ্ধবিরতি নিয়েই তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে ৩০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টার কথা বলে আসছেন।
ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব প্রসঙ্গে এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন দুপক্ষই কথা বলেছে। তাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্মতি মিললেও স্বল্প মেয়াদের কোনো চুক্তিতে সইয়ের বিষয়ে রাশিয়ার অনীহা দেখা গেছে।