সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন

জলবায়ু সংকট, মানবযুদ্ধে কাউকে পেছনে রাখা যাবে না’

রিপোর্টার / ১৯৫ বার
আপডেট : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

 দুর্যোগের সময় আমরা কাউকে পেছনে ফেলতে পারি না। নারী শিশু এবং প্রতিবন্ধী মানুষদেরকে সবসময় আমাদের সামনের সারিতে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক হিউম্যনিটেরিয়ান প্রোগ্রাম আয়োজিত ওয়েবিনারে একথা বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।  তিনি বলেন, আমি যদি নোয়াখালি কিংবা দক্ষিণাঞ্চলে থাকি এবং ৬,৭ কিংবা ১০ নম্বর সিগনাল দিল, এবং আমার পাশে যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিংবা একজন প্র্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকে আমরা কীভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে যাব যাদের হাঁটতে সমস্যা, যাদের চোখে সমস্যা কিংবা যারা যে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের দিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। যারা অসমর্থ, তাদের দিকে যত্নশীল হতে হবে, আর তাদের পেছনে ফেলে রাখা যাবে না।

ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের পরিচালক সাজেদুল হাসান বলেন, মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্র্যাক একটি গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান স্ট্রাটেজি তৈরি করেছে। এই স্ট্রাটে জিতে কোন কোন দুর্যোগে কীভাবে কাজ করবো, আমাদের লক্ষ্য কী- সব লেখা আছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের জন্য ব্র্যাকের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করা আছে- যেখানে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলোর উল্লেখ আছে। সারা বিশ্বে ব্র্যাক তাদের কর্মীদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। যদি বড় কোনো দুর্যোগ আসে, ব্র্যাকের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম একটা স্পেশালাইজড বাহিনী হিসেবে কাজ করবে।ক্লাইমেট চেঞ্জ কর্মসূচি প্রধান আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান জানিয়েছেন, প্রকৃতি এবং জলবায়ুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এখনও আমরা বুঝে উঠতে পারি না। তবে এর মোকাবেলায় ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের কার্যক্রমে অনেক নতুনত্ব রয়েছে । এগুলো  সময়োপযোগী এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।  ব্র্যাক হিউম্যানিটেরিয়ান প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান ইমামুল আজম শাহী্র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার, আইডিপি কর্মসূচি প্রধান শ্যাম সুন্দর সাহা, বাবলী সুরাইয়া, পারুল আক্তার ও রমেশ মিস্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর