বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

চুরি করা সম্পদ পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চান ড. ইউনূস

রিপোর্টার / ২৭ বার
আপডেট : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দেশ পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা এবং দুর্নীতিবাজদের চুরি হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর, ট্রেজারি বিভাগের পরিচালক জেরোড ম্যাসন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সরকার দ্রুততার সঙ্গে অর্থনীতি পুনর্গঠন ও সংস্কারের কাজ করেছে। আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করেছে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন আশার যুগের সূচনা করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের একটি রূপরেখা বর্ণনা করেন। গঠিত ছয়টি কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যা ভোটে কারচুপি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা সংস্কার এবং সংবিধান সংশোধনের কাজ করছে।
দুর্নীতি মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা দুর্নীতির এক বিশাল সমুদ্রে ছিলাম। পূর্ববর্তী স্বৈরশাসনের সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতিবাজদের চুরি করা সম্পদ তার সরকার ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দফতরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং তার সংস্কার পরিকল্পনায় ওয়াশিংটন ডিসি সমর্থন করতে পেরে আনন্দিত বলেও জানান।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে আগ্রহী।
ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম বিষয়, রোহিঙ্গা সংকট এবং প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের জন্য আসন্ন নিউ ইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর