শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

চিমনিতে কালো ধোঁয়া, নির্বাচিত হননি নতুন পোপ

রিপোর্টার / ১ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রয়াত ধর্মগুরু ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি বেছে নিতে বুধবার (৭ মে) শুরু হওয়া গোপন কনক্লেভে প্রথম দফা ভোটের পর সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেছে। এর মানে প্রথমদিন রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপ নির্বাচন করেননি কার্ডিনালরা।

ফলে বৃহস্পতিবার আবারও পোপ নির্বাচনে সমবেত হবেন কার্ডিনালরা। এদিনও কেউ পোপ নির্বাচিত না হলে ফের ভোট চলবে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

এর আগে, বুধবার (৭ মে) সকালে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রার্থনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পোপ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করছেন ৯১ বছর বয়সী কার্ডিনাল ডিন জিওভান্নি বাতিস্তা রে।

নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য ভ্যাটিকানে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ১৩০ জনের বেশি কার্ডিনাল। ভ্যাটিকান সময় বুধবার বিকেলে তারা বিখ্যাত রেনেসাঁ ফ্রেস্কোর নিচে ভোট দেওয়ার জন্য সিস্টিন চ্যাপেলে যান।

এদিকে, পোপ নির্বাচন ঘিরে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন কে হচ্ছেন নতুন পোপ তা জানার জন্য। তবে প্রথমদিন সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনিতে কালো ধোঁয়া দেখেই তারা নিশ্চিত হয়েছেন আজ পোপ নির্বাচিত হননি। এর মধ্যদিয়ে তাদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো।

পোপ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কার্ডিনালরা ওই চ্যাপেলেই থাকবেন এবং চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হলেই বোঝা যাবে পোপ নির্বাচন হয়ে গেছে। কোনো ভোটে কেউ দুই তৃতীয়াংশের বেশি ভোট পেলে সিসটিন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে বের হবে সাদা ধোঁয়া, বাজবে ঘণ্টাধ্বনি। তার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক ভোটের পর চিমনি দিয়ে বের হবে কালো ধোঁয়া।

পোপ নির্বাচনে অংশ নিতে এবার ৭০টি দেশের রেকর্ড ১৩৩ কার্ডিনাল সিসটিন চ্যাপেলে ঢুকেছেন বলে ধারণা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ফ্রান্সিস যেবার পোপ হয়েছিলেন, সেই ২০১৩ সালের কনক্লেভে ছিলেন ৪৮ দেশের ১১৫ কার্ডিনাল।

নতুন পোপ কে হতে পারেন, তা নিয়ে ইউরোপের গণমাধ্যমগুলো ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা করছে। তাদের হিসাবে, কনক্লেভে লড়াই হতে পারে ইতালীয় কার্ডিনাল পিয়েত্র পারোলিন ও ফিলিপিন্সের কার্ডিনাল লুইস আন্তোনিও তাগলের মধ্যে।

নতুন পোপ কেমন হওয়া উচিত, কার্ডিনালদের মধ্যে এ নিয়ে পরিষ্কার বিভক্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। কেউ চাইছেন ফ্রান্সিসের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক, কেউ চাইছেন ক্যাথলিক চার্চ তার পুরনো রক্ষণশীল ধারায় ফেরত যাক, অনেকে আবার চাইছেন ভ্যাটিকানের সিংহাসনে এমন কেউ বসুক, যিনি আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেন।

গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পোপ বেছে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। দিনটি রীতিনীতিতে পরিপূর্ণ এবং সিস্টিন চ্যাপেলে অত্যন্ত গোপনীয় ভোটের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

নতুন পোপ নির্বাচনের এই প্রক্রিয়া কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক কনক্লেভগুলো মাত্র কয়েক দিন স্থায়ী হয়েছিল, যদিও আগের শতাব্দীগুলোতে মতবিরোধের কারণে মাসের পর মাস ধরেও চলতে থাকে পোপ নির্বাচন প্রক্রিয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর