বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়তে পারে, প্রতিবেদন জমা

রিপোর্টার / ৪ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়তে পারে। এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা কত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে এবং সেটি কত বাড়তে পারে, তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলছেন না। শুধু বলেছেন, প্রবেশের বয়সটি বাড়তে পারে, যা সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সাধারণ বয়স ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি কয়েক শ চাকরিপ্রত্যাশী শাহবাগে সমবেত হন। একপর্যায়ে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এসে অবস্থান নেন। সেদিন তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপরও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নিজেদের দাবি জানান।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর দাবির বিষয়টি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছিল সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। কমিটিতে আরও তিনজন সদস্য ছিলেন।
এই কমিটির দায়িত্ব ছিল চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়ন করে জমা দেওয়া। এ কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কমিটির সাচিবিক সহায়তায় ছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কমিটি ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গেও সম্প্রতি বসেছিল কমিটি। সেদিন কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে, সরকারের বর্তমান নীতিমালা ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এবং সবকিছু চিন্তা করে এ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে তাঁদের (আন্দোলনকারী) যে বক্তব্য, বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেশনজট, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে চাকরিতে প্রবেশের বিদ্যমান বয়স বাড়ানো উচিত বলেও মনে করেন তিনি। বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, এটা (চাকরিতে প্রবেশের বয়স) বাড়ানো দরকার।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। ফোন দিলেও তিনি ধরছেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর