বললেন, ‘আপনাদের বলদ বলেছিলাম, প্রমাণ দিচ্ছেন’

সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত পৌনে ২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমনি। ২১ মিনিটের ফেসবুক লাইভে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও ’মিডিয়া ট্রায়াল’ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
নানান বিস্ফোরক কর্মকাণ্ড ও অভিযোগ নিয়ে আইনি জটিলতায় পড়া পরীমণির জন্য একেবারেই নতুন কিছু না। এর আগে মাদককাণ্ডে জড়িয়ে রিমান্ড থেকে শুরু করে থানা-হাজতেও কাটিয়েছেন নায়িকা। এরপর এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও কোর্ট-কাচারি বেড়াতে হয়েছে তাকে। যদিও পরে জামিন পেয়েছেন তিনি।
এবার এক অভিযোগে বাসার গৃহকর্মীকে নাকি বেধরক মারধর করেন তিনি। আর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ হলে তা একতরফা বলে দাবি করেন পরীমণি। রাজধানীর ভাটারা থানায় পরীমণির বিরুদ্ধে ওই গৃহকর্মী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় গণমাধ্যমের ওপর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীমণি। দাবি করেন, সবটাই একতরফা; এবং তিনি একপাক্ষিক বিচারের শিকার।
পরীমনি বলেন, ‘আপনারা আমার বিগত জীবনযাপন দেখলেই বুঝবেন, কোনো আত্মীয়স্বজন নিয়ে আমার জীবনযাপন না, আমার পুরো পরিবারটাই হলো আমার স্টাফদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশেষ দিবসে তাদের নিয়ে লেখালেখি করতাম। মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে যা–ই বলেন না কেন, কারণ আমি তাদের নিয়েই থাকি। সেখানে একজন আমার গৃহকর্মী, যে এক মাসও হয়নি না আসলে…সে দাবি করতেই পারে (গৃহকর্মী হিসেবে), তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী না।’
লাইভে এসে পরীমণি বলেন, ‘আমি এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একদম প্রস্তত ছিলাম না। এত মিডিয়া ট্রায়াল (একপাক্ষিক সংবাদ) বন্ধ করে দেন। জনগণ কিন্তু আস্ত একটি মিডিয়া, যদি সে সঠিক হয়, সত্যি হয়। এসব স্ট্যাম্পমারা মিডিয়ার দরকার হয় না। এগুলো করবেন না, এগুলো সুন্দর দেখায় না। আপনারা হবেন সাপোর্টিভ, এগুলো কি করেন আপনারা!’
পরীমণি বলেন, ‘একতরফা করবেন না, করলে সবদিক থেকেই করবেন। প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করেন, আমার বাসার নিচে আসতে হবে না। আমি নিজেই আপনাদের কাছে যাব। আমি আপনাদের কয়বার নক দিয়েছি, ওই মেয়ে যে আপনাদের নক দিয়েছে? আপনাদের নাম্বার ও কীভাবে পেল? নাকি আপনাদেরই গরজ। নাকি হাতে এস লেখা বলে আপনাদের বলদ ফলদ বলেছিলাম বলে আপনাদের গায়ে লাগল? তো বলদের প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছেন?’
উল্লেখ্য, এরপর বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বেশ কিছু অকথ্য ভাষায় কথায় বলেন পরীমণি। পরীমণি বলেন, ‘আপনারা আইন, সংসার, জীবন-সবকিছুর ঊর্ধ্বে যেতে চান। হুমকির সুরে পরীমণি আবার বললেন, ‘হিসাব কিন্তু একদিন আপনাদের দিতেই হবে। মিলিয়ে নিয়েন।’