ভারত সরকারের অর্থায়নে এলওসির অধীনে খুলনা-মোংলা রেল সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি। রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প বুঝে নিতে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা-মোংলা রেল ব্রিজ প্রকল্পের ম্যানেজার অমরোতোশ কুমার ঝা।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের খুলনা মোংলা রেল ব্রিজ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখান তিনি। এ সময় প্রকল্পের নানা বিষয় তুলে ধরে অমরোতোশ বলেন, এমন বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ ছিল। রুপসা নদীতে স্প্যান স্থাপন ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সেসব মোকাবিলা করেই সম্পন্ন হয়েছে প্রকল্পের কাজ। বাংলাদেশ রেলওয়ের দ্বারা এটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। ১০০ বছরেও এই সেতুর কিছু হবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা মোংলা পোর্ট রেল লাইন প্রকল্পের আওতায় রুপসা নদীর ওপর নির্মিত হলো এ সেতু। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ থেকে কাজ শুরু করে ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪২ মাসে খরচ ধরা হয় ১০৭৬ কোটি টাকা। নির্মাণ পর্যায়ে বিআর কর্তৃক অ-নির্ধারিত আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ায় মোট ব্যয় হয় ১৩১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এখন কাজের অগ্রগতি ৯৯.৯০ ভাগ বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটারে প্রকল্পে মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৭১৭ মিটার। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে পড়েছে ২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। বাকিটা মোংলায়।
অমরোতোশ বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করে এনেছি। ২২ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে। তারা জানিয়েছেন, কাজ বুঝে নিতে অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে। এর পর সেতুর ওপর রেল স্থাপনা বসানো হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মোংলা পোর্ট থাকায় রেলপথে পণ্য আনা নেওয়া আরও সহজ হবে। নদীপথে নেপাল ও ভুটান থেকে বিভিন্ন পণ্য মোংলা হয়ে এই রেল সেতু দিয়ে আসবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কিছুটা কমবে বলেও জানান তারা।