কী সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা? জানালেন ফ্লাইটের যাত্রী

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। মাঝ আকাশে প্রবল-ঝাঁকুনির পর থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি। মঙ্গলবার অবতরণ করা বিমানটি লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। ওই ফ্লাইটের এক যাত্রী বর্ণনা করেছেন সেই মুহূর্তের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। ৬৮ বছর বয়সের ব্রিটিশ এই যাত্রীর নাম জেরি, যিনি তার পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে ছিলেন। ছেলের বিয়ে উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা মাঝ আকাশে কী ঘটেছিল উড়োজাহাজটির সেকথা ব্যাংককের হাসপাতালে বসে বর্ণনা করেছেন জেরি। বলেছেন, তার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন দেখেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জেরি বলেন, প্রথমে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আমি মাত্রই শৌচাগার থেকে এসে সিটে বসেছি। তখনই ঝাঁকুনি হলো। হঠাৎ উড়োজাহাজ নিচে নামতে লাগল। ঘটনাটি ছিল খুবই আকস্মিক। কোনো সতর্কতা আদৌ ছিল না।
জেরি জানান, এমন আচমকা ঝাঁকুনিতে তিনি ও তার স্ত্রী উড়োজাহাজের সিলিংয়ে মাথায় বাড়ি খান। কেবিনের ভেতরে শুরু হয়ে যায় হট্টগোল। উড়োজাহাজের স্টাফরাসহ বহু মানুষ আহত হন।
এরপর ব্যাংককে পৌঁছলে একদল চিকিৎসক গুরুতর আহত যাত্রীদেরকে আগে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জেরিও পরে হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ে এবং জামাইকে খুঁজে পান। প্রথমে জেরি তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে খুঁজে পান পরে। ওই উড়োজাহাজে মোট ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রু ছিলেন। মাঝ-আকাশে তীব্র-ঝাঁকুনিতে ফ্লাইটটির অন্তত এক যাত্রী নিহত ও আরও ৩০ জনের বেশি আহত হন। এ ঘটনার পর ফ্লাইটটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।