মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই, সার্বিকভাবে ভোট শান্তিপূর্ণ: সিইসি

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২১ বার
আপডেট : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

সার্বিকভাবে উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনাকে ‘বাস্তবতা’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। আমরা আলাপ-আলোচনা করে এগুলো কীভাবে উত্তরণ করা যায় তা ঠিক করবো।

রবিবার (৯ জুন) শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে ভোট হয়েছে। এ জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। স্বস্তিদায়কও হয়েছে। তিনি জানান, ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনও মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতের নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে সেগুলো আমরা করবো। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।
রবিবারের ভোট প্রসঙ্গে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি। সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে। আজ ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এর মধ্যে দুই জন পোলিং অফিসার নির্বাচনি অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এদিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। চার জন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর হয়েছেন। সেখানে মোটামুটি বলা যায় কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। দেখা গেছে দুই-একটি দল ছাড়া ওরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশ নেয়নি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।
ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে সিইসি বলেন, রাজনৈতিকভাবে তো ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়নি। যখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, তখন ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে সেদিক থেকে এটি একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। আর ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রার্থীর। প্রার্থীরা তাদের কাছে আবেদন জানাতে পারে। এতে ভোটাররা কতটুকু সাড়া দেবে, এটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তারা সেটা বিবেচনা করতে পারে। তবে আমাদের জন্য সেটা বিবেচ্য নয়। আমাদের জন্য বিবেচ্য হচ্ছে ভোটটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে, সুষ্ঠুভাবে হয় এবং ভোটার যারা তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এখন যদি তারা ওখানে জোর করে ভোট দিয়ে থাকে তাহলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। সেই দিকটা আমরা বিশেষ করে জোর দিয়েছি। কোনও কিছুই স্থির থাকে না। আশা করি এটা ইম্প্রুভ হবে।
নির্বাচন নিয়ে ইসি কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয় না। চট করে বলতে পারবো না। আমরা হতাহতের খবর পাইনি। ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি এমনটা হয়নি। সেদিক থেকে এটা ইতিবাচক। সেদিক থেকে আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। ভোটার পড়ার সংখ্যা ৬০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ যদি হতো তাহলে আপনাদের মতো আমরাও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি মানুষ আগামীতে আরও সচেতন হবে এবং সুশাসনের বিষয় নিয়ে আমাদের জনগণকে উপলব্ধি করাতে হবে। সুশাসনের যে গণতান্ত্রিক চেতনা, তারাও হয়তো সেটা উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর