শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুক্তি পেল চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী এস আলমের আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধীরগতি, নতুন করে ‘অতি দরিদ্র’ হবে ৩০ লাখ মানুষ ভারতের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা এবার পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা স্থগিত করল ভারত কাশ্মিরে হামলার জের, সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ সিদ্ধান্ত ভারতের অবশেষে পদত্যাগ করলেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা দেবে কাতার ফাউন্ডেশন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান

কিংবদন্তি শিল্পী ক্রিস্টোফারসন মারা গেছেন

রিপোর্টার / ৩২ বার
আপডেট : সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

না ফেরার দেশে প্রখ্যাত মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা ক্রিস ক্রিস্টোফারসন। ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে মারা যান। কান্ট্রি মিউজিকের এই কিংবদন্তি শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৮। ক্রিস ক্রিস্টোফারসনের মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি।
কোভিডের সময় থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিস্টোফারসন, ২০২১ সালে গান থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ব্যক্তিজীবনে তিনবার বিয়ে করেন ক্রিস্টোফারসন। তৃতীয় স্ত্রী আর আট সন্তান রেখে গেছেন তিনি।
কেবল গায়ক হিসেবেও নয়, গীতিকার হিসেবেও ক্রিস্টোফারসন ছিলেন সমীহ–জাগানিয়া এক নাম। গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পী ‘সানডে মর্নিং কামিং ডাউন’, ‘মি অ্যান্ড ববি ম্যাকগি’র মতো জনপ্রিয় গান লিখেছেন। অনেক দিন ধরে একক শিল্পী হিসেবে পারফর্ম করলেও আশির দশকের মাঝামাঝি জনি ক্যাশ, ওয়েলন জেনিং ও উইলি নেলসনের সঙ্গে গানের দল ‘দ্য হাইওয়েমেন’-এর সঙ্গে পারফর্ম করেন ক্রিস্টোফারসন।
কেবল গায়ক নন, অভিনেতা হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন ক্রিস্টোফারসন। তার সবচেয়ে আলোচিত কাজ ‘আ স্টার ইজ বর্ন’। ১৯৭৬ সালে এ সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতেন। তার আরেকটি আলোচিত কাজ ‘ব্লেড’।
১৯৩৬ সালের ২২ জুন টেক্সাসে জন্ম ক্রিসের। বাবা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে, তাই ছোটবেলা কেটেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায়। অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা শেষে বাবার পথ ধরে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ক্রিস। তবে গান চালিয়ে যান সমানতালে। একপর্যায়ে গানের নেশা পুরোপুরি পেয়ে বসে, গান লেখার জন্যই সেনাবাহিনী ছাড়েন। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘ক্রিস্টোফারসন’। পরে নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও নিয়মিত অ্যালবাম প্রকাশ করেন, সর্বশেষ অ্যালবাম ‘দ্য সিডার ক্রিক সেশন’ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে।
গানে গানে নিঃসঙ্গতা, প্রেমের গল্প বলেছেন ক্রিস্টোফারসন। ইংরেজি কবি উইলিয়াম ব্লেক ছিলেন তার সবচেয়ে প্রিয়। গানের সঙ্গে অভিনয়ও ক্যারিয়ারও শুরু করেন তিনি, কাজ করেছেন স্যাম পিকিনপা, মার্টিন স্করসেজির মতো নির্মাতাদের সঙ্গে।
১৯৮০ সালে ‘হ্যাভেস গেট’ ফ্লপ হওয়ার পর ক্রিস্টোফারে অভিনয় ক্যারিয়ারে ভাটা পরে। পানাহারের অভ্যাসের কারণে ব্যক্তিজীবনও হয়ে পড়ে অগোছালো। – এএফপি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর