সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন

কর্ণফুলী টানেলের দ্বিতীয় মুখ উন্মুক্ত হচ্ছে শুক্রবার

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ১৭৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মীয়মাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের (কর্ণফুলী ট্যানেল) দ্বিতীয় মুখ উন্মুক্ত হচ্ছে আগামী শুক্রবার। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এই টানেলটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) শেষে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। একনেক সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক প্রধান শেখ হাসিনা।

সভায় কর্ণফুলী টানেল নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির কাজ আগেভাগেই শেষ হবে। আগামী শুক্রবার এটির দ্বিতীয় মুখ খুলে যাবে। একটা মুখ তো আগে খুলেছিল, দ্বিতীয়টিও খুলে দেওয়া হবে। এতে আমাদের আসা-যাওয়ার পথ পুরোটাই উন্মুক্ত হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এটি উদ্বোধনের কথা ছিল। এখন আশা করা হচ্ছে, এত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। তার অনেক আগেই উদ্বোধন করা যাবে। এটা সরকারের জন্য অবশ্যই অনেক বড় আনন্দের ব্যাপার। প্রায় সময় কথা উঠেছে, কোনও প্রকল্প সময় মতো শেষ হয় না, আগায় না। এটি একটি বড় অভিযোগ। এ প্রকল্পে তেমনটি হয়নি, সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে। মূল কাজ এখন শেষ হচ্ছে। তবে আরও অনেক কাজ বাকি আছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল আমাদের স্বপ্নের অন্যতম বড় মেগা প্রকল্প, রোমাঞ্চকর প্রকল্প। এটা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একনেক বৈঠকে জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর