এস আলমের মালিকানাধীন এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল

এবার এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ৪৭ এর উপ-ধারা (১) এবং ধারা ৪৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, এর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে।
একইসঙ্গে আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিত করতে ও জনস্বার্থে নতুনভাবে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হলো।
নতুন পর্ষদে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হককে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোরশেদ আলম খন্দকার এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন, এফসিএ।
এর আগে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে পর্ষদ ভেঙে দিতে গত ২২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গভর্নর বরাবর পাঠানো চিঠিতে ব্যাংকটির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়। ওই চিঠিতে সই করেন ২০১৭ সালে জোর করে বাদ দেওয়া চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হক, ওই সময়ের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনিসুল হক ও তখনকার অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ২০১৭ সালে ব্যাংক দু’টি দখল করে এস আলম গ্রুপ। এছাড়া, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কমার্স ও এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গ্রুপটির হাতে। এসব ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ।