সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

এসআইয়ের গোপনাঙ্গ কেটে দেয়ার ঘটনায় মামলা, স্ত্রী কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক / ৩৪৯ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইফতেখার আল-আমিনের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রূপসী দেওয়ানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রূপসী দেওয়ান বোয়ালিয়া থানায় পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুর রহমান বাদী হয়ে তার ছেলের স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রূপসী দেওয়ানকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, রূপসী দেওয়ান পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং বাসার ময়লার ঝুড়ি থেকে সেটি বের করে দেন। তার দাবি, ইফতেখারের সঙ্গে একাধিক নারীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে এসআই ইফতেখার আল-আমিন নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

কাতার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি নারী খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার লক্ষ্য তাঁদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। বাসস জানিয়েছে, কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানি মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । বাংলাদেশের চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ— জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, ফুটবলার শাহিদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আকতার ও শারমিন সুলতানা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশে ক্রীড়া পেশায় পথচলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। কাতারের সাবেক শীর্ষস্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও আমিরের বোন শেখ হিন্দ তাঁদের গল্পে আবেগাপ্লুত হন এবং দৃঢ়চেতা মনোভাবের প্রশংসা করেন। নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য ডরমেটরি, জিম ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অভাবের কথাও তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এ সময় শেখ হিন্দ জানান, বাংলাদেশে নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে কাতার ফাউন্ডেশন, যা খেলাধুলার আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম স্থাপন ও সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় ভূমিকা রাখবে। অধ্যাপক ইউনূস জানান, এই ফাউন্ডেশন খুব শিগগিরই গঠিত হবে। তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ডরমেটরি, প্রশিক্ষণ মাঠ, স্বাস্থ্যসেবা, সম্মেলন কক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পূর্ণ সহায়তা চান। তিনি আরও বলেন, এই ফাউন্ডেশন সার্ক, বিমসটেক, আসিয়ান ও মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স পরিচালনায় সহায়তা করবে। অবসরপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস। এই প্রস্তাবকে শেখ হিন্দ স্বাগত জানান এবং সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগে অধ্যাপক ইউনূস কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও আমিরের মা শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ মোজা দ্রুত বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এক ক্লিকে বিভাগের খবর