মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন

এমপি আনার হত্যা: ঝিনাইদহের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা নজরদারিতে: হারুন

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ২৮ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, এমপি আনারকে হত্যার পর আসামিরা কার কার কাছে শেয়ার করেছেন তা তদন্ত চলছে। ছবি দিয়ে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কি না, কাদের মাধ্যমে লাভবান হয়েছে, সব বিষয় তদন্ত করে বের করা হচ্ছে। ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে নজরদারিতে রাখছেন, একজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডেও এনেছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। বাংলাদেশে ও ভারত মিলে দুটি মামলা হয়েছে। দুই দেশেরই উদ্দেশ্য অভিন্ন। আমরা কাজ করছি। আসামির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেন, আমরা সব তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে মনে করেছি, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনেছি। তার রিমান্ড চলছে, তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ঘটনা ডিবি-ওয়ারি বিভাগ তদন্ত করছে।
হত্যাকাণ্ডের পর দুই কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে কি না প্রশ্নে হারুন বলেন, এগুলো আমরাও শুনেছি, সবকিছু তদন্ত করছি। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন বাংলাদেশ থেকে দিল্লির পর কাঠমান্ডু এরপর দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। তাকে আমরা ধরতে না পারলেও মোটামুটি বাকি সব আসামির বিষয়ে জানতে পেরেছি। আসামিদের অনেককেই গ্রেফতার করেছি। ভারতে জিহাদ গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া কাঠমান্ডু থেকে গ্রেফতার সিয়ামকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজন মনে করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাবো। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে তার এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।এরপরও খোঁজ মেলে না তিন বারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর