এখন হুটহাট করে কাজ করতে ইচ্ছে করে না: শবনম ফারিয়া

শবনম ফারিয়া। অভিনেত্রী ও মডেল। নানা কারণে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অভিনয় কমিয়ে দেওয়া ও নতুন কাজ ও সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেছেন।
অভিনয়ে কম দেখা যায়। অথচ হুট করে একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারকের আসনে বসার খবর এলো। এ ধরনের কাজ এটাই কি প্রথম?
হ্যাঁ। এমন অনুষ্ঠানের বিচারকের আসনে প্রথমবার বসছি। সবসময়ই নতুন কিছু করতে ভালো লাগে। সে জায়গা থেকে অনুষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
কোন ভাবনা থেকে এমন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হলেন?
আগে ক্লাসের কারণে অনেক কাজই ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন পড়াশোনা আর ক্লাসের সেই চাপটা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি এ অনুষ্ঠানটি দেখি। মন খারাপ থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। বলতে পারেন, অনেক মজার একটি অনুষ্ঠান। এ ছাড়া এখানে বিচারক হিসেবে থাকবেন গুণী অভিনেতা তুষার খান ও চিত্রনায়ক আমিন খান। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটাও একটা বাড়তি পাওয়া। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে, কাজটা আমার করা দরকার; তাই যুক্ত হয়েছি।
ঈদের নাটকে সর্বশেষ আপনাকে দেখা গিয়েছিল, এরপর আর অভিনয়ে আপনি নেই। কারণ কী?
অনেক দিন ধরেই আমি নাটকে কাজ করছিলাম না। সত্যি কথা বলতে, আমার কাছে যে গল্প বা স্ক্রিপ্টগুলো আসছে, সেগুলো আমার ভালো লাগে না। স্ক্রিপ্টগুলো পড়ে মন থেকে টানে না। আমি মনে করি ওই কাজটা করা উচিত, যে কাজটা আমি টিভিতে দেখব।
এই ভালো না লাগাটা কি সিনিয়র হয়ে উঠার কারণে?
এটাও বলা যেতে পারে। এখন তো সিনিয়র হয়ে গেছি। আমার পরে আরও কয়েকটা ব্যাচ এসেছে। এখন হুটহাট করে কাজে নেমে যেতে ইচ্ছে করে না। স্ক্রিনে থাকা লাগবে বলে কাজ করতে হবে, এমনটা মনে হয় না। এখন মনে হয়, ভালো কিছু না হলে কাজ না করাই ভালো। এ ছাড়া আমি আগে যাদের সঙ্গে কাজ করতাম, ওনারাও এখন টিভি নাটকে তেমন কাজ করেন না। এখন রেগুলার যারা কাজ করেন, তারা আমার চেয়ে অনেক ছোট। আমি যেহেতু রেগুলার কাজ করি না, তাই যে কাজটা করব, একটু সময় নিয়ে ভালো গল্প দেখে করতে চাই।
অনেক সিনিয়র শিল্পী বর্তমানে নাটকের মান ও উদ্ভট নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটা নিয়ে আপনার অভিমত কী?
এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাকেও কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক যে, দর্শক যেটা চাইবে নির্মাতারা তো সেটাই বানাবেন। দর্শক যেটা পছন্দ করেন, সে কাজ তো করতেই হবে। তবে মানের কারণে যদি নাটকের দর্শক কমে যায় তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই লস। এ দিকটা আমাদেরই খেয়াল রাখা উচিত।
বর্তমানে শুটিং কম থাকায় বিনোদন অঙ্গনের কর্মীদের আর্থিক ক্ষতির কথা বলেছেন। আপনিও কি একমত?
এটা অবশ্যই সত্য। দেশের মানুষ এখন একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার পতনের পর অনেক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এসব করতে গিয়ে আমাদের অঙ্গনে কাজেও একটা স্থবির অবস্থা ছিল। এটা যে শুধু বিনোদন অঙ্গনে তা কিন্তু না। সব অঙ্গনেই একই অবস্থা। একটা পরিবর্তনের পর তো একটু ধৈর্য্য ধরতেই হয়। সরকারকে তো একটু সময় দিতে হবে। তবে আশার বিষয় হলো– সে অবস্থা অনেকটাই কেটে গেছে। মনে হচ্ছে, সবকিছু স্বাভাবিক হতে খুব বেশি দেরি নেই।
নতুন কাজের আপডেট?
দুর্দান্ত একটি গল্প হাতে পেয়েছি। এটা ওয়েব সিরিজ। আমরা আগামী ডিসেম্বরে শুটিংয়ে যাব। নির্মাতার কাছ থেকে বলা নিষেধ, তাই বলতে পারছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, দেরিতে হলেও আমার দারুণ একটা কাজ আসছে।