নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পুরনো দাবি তুলেছে বিএনপি। তারা বলছে, নইলে নির্বাচনে অংশ নেবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই জনরায়কে অশ্রদ্ধা দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে- আর বলছে গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ। তাদের হঠকারিতা এবং নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গের যে অপরাজনীতি, তাতে কোনো ফল অতীতে আসেনি, ভবিষ্যতেও আসবে বলে জনগণ মনে করে না। দলের ক্ষয়িষ্ণু অস্তিত্ব রক্ষা এবং সমর্থক, কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে হলে নির্বাচনে বিএনপিকে আসতেই হবে। ইউপি নির্বাচনেও বিএনপি ‘পরিচয় লুকিয়ে অংশ নিচ্ছে’ দাবি করে কাদের বলেন, এটা তাদের বর্ণচোরা রাজনীতি। বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে যা বলে তা করে না, আর যা গোপনে করে তা প্রকাশ্যে বলে না। তাইতো জনগণ বিএনপির দ্বি-চারিতা বুঝতে পেরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নিজেদের দলে ‘গণতন্ত্রকে গুম করে বাইরে গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়’ বলে মন্তব্য করেন। তাদের এ ধরনের অভিযোগ উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মতো। বিএনপিই গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, তারাই গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে পথ খুঁজছে।