লিডের আশায় শেষ দ্বিতীয় দিন

প্রথম ইনিংসে লিড নিলেই মিরপুর টেস্টে জয় একপ্রকার নিশ্চিত। ২৭ বছর আর ২৮ টেস্টের জীবনমালায় মাত্র তিনবার প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকা দল এখানে জয় পেয়েছে। যার দুটি বাংলাদেশের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ২০২ রানের ঋণ শোধ করে লিড নিয়ে এই টেস্ট জয়ের আশা দুঃসাহস ছাড়া কিছু নয়।
হতাশার টেস্টে যা একটু স্বস্তি দিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং। ২৭.১ ওভারে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান তুলেছে। আলো স্বল্পতায় দ্বিতীয় দিনের খেলাও আগেভাগে শেষ হয়েছে। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৮০ বলে ৩৮ রান করেছেন। তার সঙ্গে তৃতীয় দিন শুরু করবেন মুশফিকুর রহিম। ইনিংস হার এড়িয়ে সম্মানজনক অবস্থানে দলকে নেওয়াই হবে তাদের প্রথম লক্ষ্য।
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাজে শট খেলে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরে যান বাঁ-হাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম (১)। তিনে নেমে মুমিনুল হক শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন। পরে নাজমুল শান্ত ও জয় ৫০ রানের জুটি গড়েন। শান্ত ফিরে যান ২৩ রান করে। ৪২ রান যোগ করে দিন শেষ করেছেন জয়-মুশফিক।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমদিন তারা ৩৪ রানের লিড নিতেই ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভারায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাহিরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভারায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৪ রানে থামেন। এছাড়া ডিন পিডিট ৩২ রান যোগ করেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পেসার হাসান নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ২ উইকেট। তিনি এই টেস্ট দিয়ে ৩০০ উইকেটের কীর্তি গড়েছেন।