মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলকে থামাতে হবে, আইসিজিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদন

ভয়েস বাংলা প্রতিবেদক / ৩০ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে রাফাহ অভিযানে ইসরায়েলকে অবশ্যই থামাতে হবে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজি)-তে এই আবেদন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করে হেগে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই মামলার অংশ হিসেবে রাফাহ অঞ্চলে আক্রমণ বন্ধের আদেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই থামাতে হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই আহ্বানের পরই বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দুই দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা মঙ্গলবার বলেছে, ইসরায়েলকে জাতিসংঘের কর্মকর্তা, মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা এবং সাংবাদিক ও তদন্তকারীদের জন্য গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। দেশটি আরও বলেছে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত আদালতের আগের আদেশ উপেক্ষা ও লঙ্ঘন করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটর্নি তেম্বেকা এনগকুকাইতোবি বলেছেন, ইসরায়েলের সামরিক হামলা কয়েক হাজার শিশু ও নারীকে হত্যা করেছে। শুধু তাই না, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস ও ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রেখেছে। তিনি বলেন, শুরু থেকেই ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করা এবং তাদের পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা। আরেক আইনজীবী আদিলা হাসিম বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই থামাতে হবে। আদালত তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে এমন একটি আদেশ দিক যা ইসরায়েলকে থামিয়ে দেবে।
এদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বুধবার আর্মি রেডিওকে বলেছেন, আদালত শুনানির জন্য যে নোটিশ দিয়েছে তাতে পর্যাপ্ত আইনি প্রস্তুতির অনুমতি দেওয়া হয়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ২৫৩ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছে গোষ্ঠেীটি।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানুয়ারিতে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনও গণহত্যামূলক কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ১৬ ও ১৭ মে শুনানি শুধু জরুরি ব্যবস্থা জারি করার ওপর ফোকাস করবে। এছাড়া, এই মামলার রায় দিতে সম্ভবত কয়েক বছর সময় লাগবে।
আইসিজের রায় ও আদেশ বাধ্যতামূলক। এর রায়ের কোনও আপিল করা যায় না। কিন্তু এই রায় প্রয়োগ করার কোনও উপায় নেই আদালতের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর