আকাশে শাওয়ালের চাঁদ, ঈদ কাল সোমবার

দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরির শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ রোববার ২৯ দিনে পূর্ণ হচ্ছে রমজান মাস। আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সারা দেশে মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হবে।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক থেকে সারা দেশে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্বও করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ঈদুল ফিতর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুটি উৎসবের একটি। দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর পর আসে এই উৎসব। কোরআন ও হাদিস অনুযায়, রমজানে সংযম ও তাকওয়ার যে শিক্ষা মুসলিমরা লাভ করে, তারই পুরস্কার এই ঈদুল ফিতর।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই ঈদের দিন মুসলমানদের জন্য আনন্দ ও খুশির দিন।’ [আবু দাউদ]
কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক দিক থেকেও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম। এ দিন মুসলিমরা একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন, একে অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্রদের সহায়তা করেন।
ইসলামে যে সাম্যের বাণীর কথা বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর উদ্যাপনেও রয়েছে সেই সাম্যের প্রতিফলন। ঈদুল ফিতরের জন্য তাই দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে। ঈদের নামাজের আগেই সামর্থ্যবানদের আদায় করতে বলা হয়েছে সাদকাতুল ফিতরা, যা দরিদ্রদের মধ্যেও ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে।
ঈদুল ফিতরের অন্যতম বার্তা হলো পুরোনো মনোমালিন্য দূর করা, পারস্পরিক ক্ষমা প্রদর্শন এবং নতুনভাবে সম্পর্ক স্থাপন। ঈদের এই শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মধ্যে। ঈদ উৎসব নিয়ে আসুক আনন্দ, শান্তি।
এমন কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাণীতে তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।