অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’

গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাজধানী ঢাকার তুরাগের দিয়াবাড়ী দক্ষিণ এলাকায় হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
সোমবার (১৭ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে চিঠি দিয়েছে।
মো. আশরাফুল হাসান গ্রামীণ ট্রাস্টেরও চেয়ারম্যান। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই গ্রামীণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৮৯ সালে অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক ইউনূস। সামাজিক ব্যবসাকে ব্যবহার করে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করে আসছে এ ট্রাস্ট।
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমোদন দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে চিঠি দিয়েছে, তাতে ২২টি শর্তের উল্লেখ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সাত বছরের জন্য অনুমোদন পাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর সব বিধান ও শর্ত মেনে চলতে হবে।
শর্তে আরও বলা হয়েছে, কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং এগুলোর অধীনে কমপক্ষে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।
দেশে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৫টি। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাওয়ায় সেই সংখ্যা এখন ১১৬।