চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন ও রাশিয়া একসঙ্গে মহাশক্তি হিসেবে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাজ করতে পারে। ইউক্রেনের রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর প্রথমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেছেন। মার্কিন সামিয়কী নিউজউইক এখবর জানিয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় চীনে সর্বশেষ মিলিত হয়েছিলেন পুতিন ও শি জিনপিং। পুতিনের চীন সফরের তিন সপ্তাহ পর ইউক্রেনে আক্রমণ করে রাশিয়া। গত ছয় মাসে অন্তত ছয়বার ৬৯ বছর বয়সী উভয় নেতা ফোনে কথা বলেছেন।
পুতিনকে ‘প্রিয় ও পুরনো বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মহাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন। সামাজিক অস্থিরতায় ঢেকে যাওয়া বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক প্রচেষ্টার জন্য পথপ্রদর্শক ভূমিকা পালন করতেও আগ্রহী।
উজবেকিস্তানের সামারখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও)-এর সম্মেলনের রুদ্ধদ্বার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলায় রাশিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার মনে করে চীন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে বেইজিং। কিন্তু রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় কোনও সরঞ্জামগত সহযোগিতা প্রদান থেকেও নিজেদের বিরত রেখেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ভারসাম্যমূলক অবস্থানের জন্য শি জিনপিংকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে চীনের প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে।