খাদ্যশস্যের ঘাটতি কমাতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রী পরিষদ সচিব
খাদ্যশস্য ঘাটতি কমাতে কাজ করছে সরকার, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীসহ পাঁচ জেলার কর্মকর্তাদের সাথে ভুমি সেবা ও কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, যুগ্ন সচিব রেজাউল ইমলাম ও মাজিদুল ইসলামসহ মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনা জন্য আগামীতে খাদ্য ঘাটতি হতে পারে। এজন্য কৃষি পণ্য ধান, শাকসবজি, মাছ ও মুরগীর উৎপাদন বাড়াতে কাজ শুরু করেছে সরকার। বেরো ধান ২৮-২৯ এর পরিবর্তে নতুন বিরিধান ৯৮ উৎপাদন করা হবে। এতে করে আগের থেকে দ্বিগুন উৎপাদন বাড়বে। এরইমধ্যে গবেষণা শেষ হয়েছে। শিগগিরই চাষী ভাইদের বীজ দেয়া হবে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, নতুন ভুমি আইন শিগগিরই চালু হচ্ছে। এলাকার মস্তান আর ক্ষমতাশীল ব্যক্তি জমি দখল করে, এতে প্রকৃত জমির মালিক তার নায্য থেকে বঞ্চিত হয়। নতুন আইনে সেই সুযোগ আর থাকছে না। জমি ও কাগজ যার মালিকানা তার, ভুমি সহকারী কমিশনার, রেজিষ্টার ও দলিলগ্রহিতার জন্য একত্রে তিন দলিল হবে, যাতে প্রতারণা শিকার কেউ না হয়।
একই জমি দুইবার দলিল যাতে না হয়, এজন্য এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করছে সরকার। দখলের মাধ্যমে মালিকানা নতুন ভুমি আইনে থাকছে না। যে জমি কিনবে শুধুমাত্র তারই নামেই মিউটেশন হবে। সাতদিনের মধ্যে ভুমি সহকারী কমিশনার জমির মিউটেশন করতে বাধ্য। এতে দুইবার জমি বিক্রি করার সুযোগও থাকছে না।