রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতার পর একেকটি খুন বদলে দিয়েছে ইতিহাস

উদিসা ইসলাম / ৪০ বার
আপডেট : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪

স্বাধীন বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ আওয়ামী লীগে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, তার সবই প্রধানত চারটি বিষয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে করা হয়েছে বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া, দলটিতে নেতৃত্ব সংকট তৈরি, ইতিহাস বিকৃতি এবং দেশবিরোধিতা—এই চার উদ্দেশ্যে বারবার আঘাত করা হয়েছে দলটিকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর একের পর এক হামলা, গ্রেনেড মেরে নেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নাই করে দেওয়ার ‘রাজনীতি’ চলে এসেছে এই দেশে। তবে দলটিকে যতবার আঘাত করা হয়েছে, ততবার তারা নতুন পরিকল্পনায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠন হলো ঠিকই, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী দোসররা একই ষড়যন্ত্র নিয়ে হাজির হলো। এই দেশে ১১ জন এমপি হত্যার শিকার হয়েছেন। স্বাধীন দেশে প্রথম সংসদ সদস্য খুন হয় ১৯৭২ সালেই। এরপর ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এক এক করে হত্যা করা হয় আরও তিন এমপিকে। আর ১৯৭৫ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নকশা বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র সামনে এলে বোঝা যায়— গোপনে কী নীল নকশাই না এঁটে চলেছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। ইতিহাসবিদরা বলছেন, একেকটা খুন বদলে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস। জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে তা আরও ভয়ংকর রূপ নেয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে একদল ঘাতক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির ইতিহাসে এক বড় কলঙ্ক। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও তার সহযোগীরা ক্ষমতা দখল করে। এরপর তার নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহযোগী জাতীয় চার নেতাকে কারাবন্দি করা হয়। বৈরী পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অনেকে আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন। আবার দলের নেতাদের একটি অংশ প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে সমঝোতা করেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা— বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো তাদের গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। এভাবেই একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়ে ছিল ঘাতকরা।
সে সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। কিন্তু দেশে ফেরার অনুমতি পাননি। ১৯৮১ সালে তিনি ফিরে আসেন এবং দল গোছানোর কাছ শুরু করেন। দল হিসেবে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগকে গুছিয়ে এনেছেন, ঠিক তখনই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় দলীয় সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠী। ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ’ চলছিল। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে দলটির সভানেত্রী ও তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখছিলেন। তার বক্তব্য যখন প্রায় শেষ, ঠিক তখনই শুরু হয় একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও আওয়ামী লীগ অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী—ওই ঘটনায় সেদিন ঘটনাস্থলে ও পরে আহতদের মধ্যে দুজনসহ মোট নিহত হন ২৪ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানের মৃত্যু দলকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। এছাড়া নিহত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক মোস্তাক আহমেদ সেন্টুও। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টার কথা জানা গেছে।
১৯৭২ সালের শুরু থেকে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করা এবং তার খুব কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতির শিকার হয়ে ১৯৭২ সালের ৬ জুন আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ভাষাসৈনিক শহীদ এম. এ গফুর। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহচর ছিলেন।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য এএফএম নুরুল হক হাওলাদার ১৯৭৩ সালের ৩০ মে রাত ৮টায় আততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। শরীয়তপুর জেলাধীন নড়িয়া উপজেলার সালধ গ্রামে তার নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকরত অবস্থায় আততায়ীরা তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। জীবদ্দশায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহচর।
একই বছর খুন হন ঝালকাঠির এমপি আবদুল মুকিম। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি ও নলছিটি থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে সিরাজ শিকদারের সর্বহারা গ্রুপ তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এর পরের বছর ১৯৭৪ সালে ভোলার মোতাহার উদ্দিন আহমেদ মাস্টারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার বক্তৃতা, ভোলার প্রতি তার দায়িত্বশীলতার কারণে বঙ্গবন্ধু তাকে ‘ভোলার রত্ন’ বলতেন। গাজী ফজলুর রহমানকেও প্রাণ দিতে হয় আততায়ীদের গুলিতে।
এছাড়া কুষ্টিয়ার গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডও সে সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালে রোজার ঈদের নামাজ শুরুর আগ মুহূর্তে জাসদের গণবাহিনীর কর্মীরা গোলাম কিবরিয়াকে ব্রাশফায়ার করে। কিবরিয়ার প্রয়াত সহধর্মিণী নূরজাহান বেগম এক স্মৃতিচারণে উল্লেখ করেন কীভাবে নিরুপায় ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন গোলাম কিবরিয়া। বয়সে শেখ মুজিবের বড় হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সবসময় গোলাম কিবরিয়াকে মিয়া ভাই বলে সম্বোধন করতেন। আততায়ীদের গুলিতে মরতে হয়েছিল নেত্রকোনার আবদুল খালেককেও।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৬ দফা ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা মিলে আন্দোলনে উত্তপ্ত টঙ্গীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে যেসব সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতো, সেগুলোর আয়োজনে যাদের নাম সবার আগে উচ্চারিত হতো, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা আহসান উল্লাহর নাম। ১৯৮৩ ও ১৯৮৯ সালে দুবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। তৃণমূল থেকে উঠে আসা বহুমাত্রিক এই রাজনীতিক ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিপুল ভোটে গাজীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অস্ত্রের ঝনঝনানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালের ৭ মে তাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে নড়বড়ে করার পরিকল্পনা ছিল বিরোধী দলের।
দলের শক্তিশালী নেতা না হলেও ২০০৫ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড দলকে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারতো। কিবরিয়া সফল আমলা-জীবন শেষে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। শেখ হাসিনা তাকে দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করতে দ্বিধা করেননি। তিনি সভানেত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা পদের দায়িত্বে আসীন হন নিজের মেধা ও প্রজ্ঞার গুণে।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
আর সম্প্রতি সবচেয়ে আলোড়ন তৈরি করে আনোয়ারুল আজীম আনারের ‘হত্যাকাণ্ড’। ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২২ মে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা শিকার হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি)। তবে নিখোঁজ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার ‘লাশের’ সন্ধান পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ও হত্যার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের বারবার হত্যা করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে, বিরোধী শক্তি কেন এই টার্গেট করে—প্রশ্নে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মূলধারা’ উল্লেখ করে দলটির দফতর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যখনই ক্ষমতায় ছিল, কিংবা ক্ষমতায় ছিল না—সবসময়ই জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেছে। যখন জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করা দরকার, তা নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করেছে বলে ৭৫ বছরেও তারা একইরকম আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম। আর সেটা করতে পারে বলেই জন্মলগ্ন থেকে জনগণের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক এবং জনগণের কল্যাণে দলটি সব করেছে। অপরদিকে জনগণের বিপক্ষে, গণতন্ত্রের বিপক্ষে যে শক্তি, তারা বারবার চেয়েছে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করতে। তারা হত্যা, ষড়যন্ত্র, গুজবের মাধ্যমে সেটা করতে চেষ্টা করেছে এবং প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হারিয়েছি, জেলের ভেতর চার নেতাকে হারিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অপ্রতিরোধ্য গতিকে স্তব্ধ করা যায়নি। আঘাতে আঘাতে সাময়িকভাবে অগ্রযাত্রা থামাতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু জনগণের রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে সরাতে পারেনি। এত ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর মনে করেন, হত্যাকাণ্ডগুলোর মোটিভ খুঁজলেই কারণ বের করা সহজ হবে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রধান কারণ একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া। সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতির ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটো দেশ জন্ম নিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠন হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সেটা আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব হয়েছে। ৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। বিভিন্ন সময় তারা যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটিয়েছে, সবই বাংলাদেশকে পেছনে নেওয়ার এবং আবারও পাকিস্তান তৈরি করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর