২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
রবিবার কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকেও ছাড়িয়ে যাবে। মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর হবে অর্থনীতির লাইফ লাইন। এই বন্দর নির্মাণ হলে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। মাতারবাড়ী বন্দরে ৮২০০ টিইইউস ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বড় কন্টেইনার জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এ ছাড়া মাতারবাড়ী বন্দর বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হবে। কক্সবাজারের চকরিয়া মাতারবাড়ী পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক তৈরি করা হবে। ফলে বন্দরের সকল পন্য খুব সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০০ মিটার প্রসস্থ, ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন, ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে দুই হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বন্দরের জেটি নির্মাণ কাজ শুরু হবে।