স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিলে দখলকারীদের দমন সম্ভব নয়
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ক্ষমতাহীন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা নদী কমিশনকে পরিপূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা না করলে নদী দখলকারীদের দমন করা সম্ভব নয়। নদীগুলো রক্ষা করে এর প্রবাহ নিশ্চিত করাই— নদী দিবসের অঙ্গীকার।
রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ ও বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ও পরিবেশ ভাবনা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ক্ষমতাহীন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নদী কমিশনকে পরিপূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা না করলে নদী দখলকারীদের দমন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নদী দখল ইস্যুতে আমরা শুধু প্রেসক্রিপশন করার ক্ষমতা রাখি, ওষুধ প্রয়োগের ক্ষমতার জন্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হতে হয়। দেশের নদী বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন কমিশনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তিনি।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিল্প শহর গড়ে উঠেছে নদীর ওপর ভিত্তি করে, অথচ এই শিল্প-কলকারখানাগুলো নদীকে ধ্বংস করছে। বাংলাদেশের নদী না বাঁচলে কৃষি বাঁচবে না, আর কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। তাই দেশের নদীগুলো বাঁচানোর কার্যকর উদ্যোগ দরকার। তারা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে অনেক নদীতে ব্লক ফেলে নদীর ইকোসিস্টেম নষ্ট করা হচ্ছে। নদীদূষণের কারণে বাংলাদেশ থেকে অনেক দেশি মাছ হারিয়ে গেছে। প্রতিটি নদী নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা করা গেলে এ দেশের নদীগুলো বাঁচানো সম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশের খেতাবকে অটুট রাখা সম্ভব।