সোমবার থেকে ফের কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা
সোমবার থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা টানা ৪১ দিন কর্মবিরতি পালন করে।
এরমধ্যে শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একদল লোক হামলা চালায় চিকিৎসকদের উপর। এর জেরে সোমবার থেকে নতুন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন তারা।
সাগর দত্ত মেডিকেলে হামলার প্রতিবাদে নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয় কর্মবিরতি। এই নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয় রাজ্য পুলিশের। কিন্তু এরপরও কোনো সমাধান আসেনি।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা জানান, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় তাদের সন্তোষজনক না হলে ওইদিন বিকেল পাঁচটা থেকে সব সরকারি মেডিকেল কলেজে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করবেন তারা। এমন ঘোষণায় কার্যত মমতা ব্যানার্জির সরকারকে ডেডলাইন দিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আন্দোলনরত প্রতিনিধিরা হুঁশিয়ারি দেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে সোমবার রাজ্য সরকার কী বক্তব্য উপস্থাপন করে এবং শীর্ষ আদালত কী বলে তা দেখার পরই তারা বিকেল থেকে কর্মবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রতিনিধিদের দাবি, রাজ্য সরকারকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এইসঙ্গে হাসপাতালে ইলেক্ট্রনিক্স ডিসপ্লে বোর্ডে শূন্য শয্যার সংখ্যা, রোগীর শারীরিক অবস্থা জানানোর ব্যবস্থার করতে হবে। এর ফলে চিকিৎসক এবং রোগীর পরিবারের ভুল বোঝাবুঝি কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তায় ১২ হাজার পুলিশ নিয়োগ, প্রত্যেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসানো, প্যানিক বাটানের ব্যবস্থাসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এত কিছুর মধ্যেই দুর্গাপূজার ঠিক আগে পূর্ণ কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনটা ঘটলে আউটডোর, ইনডোর, এমনকি জরুরি বিভাগেও রোগীরা সেবা পাবেন না।