ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হলে ভুক্তভোগী কথা বললেও মুখ খোলেননি অভিযুক্তরা। গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান তারা।
এদিকে, বেশ কয়েক দিন ধরে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও হল তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরমধ্যে আজ ১২টার দিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলমের ডাকে আবারও ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। হলের তদন্ত কার্যক্রম শেষে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, হল প্রভোস্ট আমার কাছ থেকে ১৩ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছেন এবং বক্তব্য নিয়েছেন।
হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দেন ওই শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওই কক্ষে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইশরাত জাহান মিম, হালিমা খাতুন উর্মিও ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সাক্ষাৎকার শেষে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দাবি করেন, সানজিদা আপুসহ সবার চোখে কান্না কান্না ভাব। আমার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন তারা। তবে আমার কিছু করার নেই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও সহযোগীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কেউই কথা বলেননি।
এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি বলে জানান তার বাবা। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এ পর্যন্ত চারবার পাবনা থেকে আসা লাগছে। মেয়ে এখনও শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন তিনি। শাস্তি না হলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলসহ কেউই গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি।