সাকিবের অবসরের সিদ্ধান্তে অবাক হাথুরুসিংহে
চেন্নাইয়ের পর কানপুর টেস্টেও হারের পর বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ভারতীয়দের খুব একটা আগ্রহ থাকার কথা নয়। কিন্তু কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিন সাকিব আল হাসানের টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া, দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার আলোচনা কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে একটা কৌতূহল ভারতীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ছিল।
সে জন্যই কানপুরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সাংবাদিকেরা শুধু সাকিব-কেন্দ্রিক প্রশ্নই করলেন। তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে জানান, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে অবসরের ঘোষণা দেওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাকিব তাঁর সে শেষ সিরিজ বলায় আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আর আপনি তো সাকিবের মতো হুবহু বিকল্প খুঁজে পাবেন না।
ঘরের মাঠের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেছেন, এটাই সাকিবের শেষ টেস্ট ম্যাচ, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি যতটুকু জানি, সে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা খেলছে।
সাকিব না থাকলে দলের পরিকল্পনা কেমন হবে, কে হবেন তাঁর বিকল্প, হাথুরুসিংহে এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সাকিব না থাকলে কি হবে, সে ভাবনা তো সব সময়ই আছে, বিশেষ করে সে এখন তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে আছে।’
হাথুরুসিংহে পরে যোগ করেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাকিব তাঁর সে শেষ সিরিজ বলায় আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আর আপনি তো সাকিবের মতো হুবহু বিকল্প খুঁজে পাবেন না।
কানপুর টেস্টে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট ২৮০ রানে হারায় দুই ম্যাচের এই সিরিজ বাংলাদেশ হারল ২–০ ব্যবধানে।
কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে প্রথম টেস্ট খেলে তিনি এই সংস্করণ থেকে অবসর নিতে চান। আর ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই। যদিও পরবর্তী সময়ে দল চাইলে এই সংস্করণে ফেরার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন সাকিব। তবে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া নিয়ে সাকিব আলাদা করে বলেছিলেন, যদি তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তিনি শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এরপর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না ক্রিকেট বোর্ড। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভা শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাঁকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বিসিবির।