অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং গত ১ অগাস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
অর্থ সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যংকের গভর্নর, ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ডেপুটি গভর্নর, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৭ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হয়েছে বলে জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও দুদক, বাংলাদেশ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ এমন অভিযোগ উঠলে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৬ ধারায় এবং দুদক আইন ২০০৪ এর ১৯ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দুদক বা বংলাদেশ ব্যাংক তাকে অপসারণ করে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যে কারণে ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
“নইলে দেখা যাবে বেসিক ব্যংক বা পিপলস লিজিংয়ের মত সাধারণ মানুষের জমা করা টাকার হদিস থাকবে না।”
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদকের কাছে আবেদন করেও সাড়া মিলছে না, এমন খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভুইয়া ও মো. মাহবুবুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পরই রুলসহ এ আদেশ হল।