দেশের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও যাদের কো-মর্বিডিটি আছে তাদের ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওমিক্রন নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশই বুস্টার ডোজ দিয়েছে। আমাদের দেশের ষাটোর্ধ্ব ও কো-মর্বিডিটি যাদের আছে সেসব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দিলে করোনায় মৃত্যুর হার আরও অনেকটাই কমে আসবে। দেশে ওমিক্রন চলে এলে তা মোকাবিলা করতে সরকার কী প্রস্তুতি নিয়েছে সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে শিগগিরই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ বাস্তবায়ন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারের হাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনেকের আগ্রহ কম থাকায় এখন থেকে নতুন একটি স্লোগান তৈরি করা হয়েছে, ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস। অর্থাৎ, ভ্যাকসিন সনদ ছাড়া কোথাও কোনও সার্ভিস পাওয়া যাবে না। আর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের জেলা পর্যায় থেকে সব জায়গায় চিঠি দেওয়া হবে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলা পর্যায় থেকে সবখানে সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সব কার্যক্রম পালনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
এবার ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস
নো মাস্ক নো সার্ভিস’-এর পর এবার ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ ক্যাম্পেইন চালুর কথা ভাবছে সরকার। এমনটা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওমিক্রন নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ প্রায় ছয় কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে প্রায় চার কোটির কাছাকাছি। দেশে শিক্ষার্থী ও বস্তিবাসীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব পর্যায়েই টিকা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও দেখা যাচ্ছে, এখনও অনেকে টিকা নেননি এবং তাদের টিকা নেওয়ার আগ্রহও কম।
শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকায় যে পর্যায়ে আশা করেছিলাম সে পর্যায়ে যেতে পারিনি। ৭-৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আরও বেশি দেওয়া হবে। চেষ্টা করছি যাতে এটা বাড়ানো যায়। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবরা ছিলেন, তাদের বলেছি আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।