জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়।
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি, পায়রা বন্দর নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদসহ আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন বিস্ময়কর। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে স্পিকার বলেন, তিনি তার পিতার মত এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
সংসদ সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছ, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ‘স্বপ্নের রূপকার’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অপূর্ণ স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পানিবণ্টন চুক্তি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য চুক্তি তিনি করেছিলেন। যার কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্ত ভিত রচনা করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তার রাজনীতির মূল দর্শন।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের আবাসন প্রকল্পের প্রশংসা করে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজনহারানোর বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান লংঘনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার, আইনের ঊর্ধ্বে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ কার্যকর করার মাধ্যমে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন।