র্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৬ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করা হয়েছে। তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৬ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধজ্ঞা দুঃখজনক। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নিজেও সারপ্রাইজ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটা নতুন ঢং। যে কোনো অভিযোগ তথ্য ভিত্তিক হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক নিঁখোজ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিপক্ক গণতন্ত্রের দেশ থেকে এটা কাম্য নয়।
এর আগে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি। র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞারা তালিকায় আরও রয়েছেন র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) আনোয়ার লতিফ খান।