রাশিয়া যুদ্ধ চায় না: পুতিন
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কা ছড়িয়ে দেওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ চায় না। মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
মস্কোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন পুতিন। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইউরোপের যুদ্ধের সম্ভাব্যতা তিনি উড়িয়ে দেবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ চায় না।
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎসের মন্তব্যের সূত্রে পুতিন একথা বলেছেন। শলৎস বলেছিলেন, এই প্রজন্ম ইউরোপে একটি যুদ্ধের কথা ভাবতে পারে না। যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন, মহাদেশটির ১৯৯০-এর দশকে যুগোস্লাভিয়াতে যুদ্ধ দেখেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধ চায় না। এখন পর্যন্ত আলোচনা প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাশিয়াই প্রস্তাব তুলে ধরেছে। কিন্তু রাশিয়ার প্রস্তাবে গঠনমূলক কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এখনও ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু ইস্যুতে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলো ন্যাটো পূরণ করেনি। এছাড়া অন্য দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে নিজেদের শক্তিশালী না করা একটি বাধ্যবাধকতা। তবে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত।
ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেছেন, গত ৩০ বছর ধরে আমাদের বলা হচ্ছে জোটটির কোনও সম্প্রসারণ হয়নি। কিন্তু এখন আমাদের দোরগোড়ায় অবকাঠামো দেখছি। ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্যপদের বিষয়টি আমাদের এখনই সুরাহা করতে হবে, চলমান আলোচনাতেই এই প্রশ্নের মীমাংসা করা আমাদের প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের আশা, আমাদের উদ্বেগ অংশীদাররা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।
জার্মানিকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, জার্মানি রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং সম্পর্ক দৃঢ় করতে তিনি আগ্রহী। জ্বালানি খাতকে জার্মানির সঙ্গে সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ খাত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এখনও চালু না হওয়া নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনকে নিখাদ বাণিজ্যিক প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরেন পুতিন।