রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে দেশে তেলের দাম বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মোটা চালের দাম স্থিতিশীল আছে, চিকন চালের দাম কিছুটা বেশি।রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ভোজ্যতেল আমাদের আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। এ অবস্থায় তেলের দাম না বাড়ালে কেউ আমদানি করবে না। তবে সরকার কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করছে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, আহসানুল হক টিটু এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।
ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়েছে ১১০ থেকে ১২০ ডলার। যে কারণে বাংলাদেশে তেলের দাম বেড়েছে। তবু পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল আনার চেষ্টা করছি আমরা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, গত দুই বছর করোনাকালে উন্নত বিশ্বের কৃষকরা আবাদ করেনি, মাঠে নামেনি, শ্রমিকরা খনিতে নামেনি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ কোনোভাবেই বিএনপির অপচেষ্টা মেনে নেবে না। বিএনপি ২০১৪ সালের মতো দেশে আবার অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মনে করছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, বোমাবাজি, রেললাইন তুলে ও গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে আবারও ক্ষমতায় আসবে। তা মেনে নেবে না জনগণ। বিএনপি আন্দোলনে হাওয়া দিতে পারছে না, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০১৫ সাল থেকে তারা একদিনও হরতাল পালন করতে পারেনি। বাংলাদেশে আর কোনও দিন হরতাল হবে না। আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। ন্যায়ের পথে, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে তাদের আন্দোলন করতে হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেবে সরকার। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময়ই বাঁকা পথে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কখনও বাঁকা পথে জনগণের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। কাজেই আগামী দিনে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কাউকে নির্বাচন বানচাল করতে দেওয়া হবে না।