রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন প্রধান বিচারপতি
রাজারবাগ পীর ও দরবারের বিরুদ্ধে দুদক, সিআইডি ও সিটিটিসিকে তদন্ত করতে বলা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের করা আবেদনের শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। রবিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের কার্য তালিকা অনুসারে মামলাটি শুনানির শুরুতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান বিচারপতির সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, প্রধান বিচারপতি চাইলে যেকোনও মামলা থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন। মূলত মামলার বিষয়ে বাইরে থেকে কোনও হস্তক্ষেপ কিংবা ব্যক্তিগত কারণে মামলা থেকে বিচারপতিদের সরে দাঁড়ানোর নজির এর আগেও অনেক রয়েছে। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরিফের সব সম্পদের তথ্য খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা তদন্ত করতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং উচ্চ আদালতে রিটকারী ৮ জনের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ১১ অক্টোবর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ৮ ব্যক্তির পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
রিটকারীদের মধ্যে শিশু, নারী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকে রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর ও তাদের মুরিদদের হয়রানিমূলক মামলার শিকার। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও আইজিপিসহ মোট ২০ জনকে বিবাদী করা হয়।