মোস্তাফিজের ১৯ রানের ওভার হোল্ডারের ‘টার্নিং পয়েন্ট’
মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে তিন ছক্কায় ১৯ রান নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার জেসন হোল্ডার ও কাইরন পোলার্ড। আর তাতেই শারজার উইকেটে ১৪২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ক্যারিবীয়রা। মোস্তাফিজের ওই ওভারকেই টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন হোল্ডার।
বিশ্বকাপের মূল দলে ছিলেন না পেস বোলিং অলরাউন্ডার হোল্ডার। আরেক ফাস্ট বোলার ওবেড ম্যাককয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামেন তিনি। ৫ বলে অপরাজিত ১৫ রান করে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করতে বড় ভূমিকা রাখেন এই অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে পরপর দুই ছক্কা মারেন তিনি। এরপর সিঙ্গেল নিয়ে পোলার্ডকে বাকি ছক্কাটি মারার সুযোগ করে দেন। সব মিলিয়ে মোস্তাফিজের ওই ওভারে ১৯ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাঁহাতি পেসারের ওই ওভারটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন হোল্ডার, শেষ ওভারটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই। আমরা তিনটি ছক্কা পেয়েছিলাম সেই ওভারে। ওই রানগুলোর কারণে আমরা সম্মানজনক পুঁজি পাই। আমাদের মনে হয়েছে এখানে ১৪০ রান যথেষ্ট। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ রয়েছে এবং উইকেট যে ধরনের ছিল তাতে এই রান ডিফেন্ড করার মতো।
অবশ্য আন্দ্রে রাসেলের করা শেষ বলটিও সামনে এনেছেন সাবেক অধিনায়ক। ৭ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৩ রানের। সেই রান আটকে দিয়েছেন ক্যারিবীয় বোলাররা। ১৯তম ওভারে ব্রাভোর করা শেষ বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচটি নেন হোল্ডার। রাসেলের শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ১৩ রান নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। শেষ বলে একটি চার হলেই হতো। কিন্তু ক্যারিবিয়ান পেসারের বুদ্ধিদীপ্ত ইয়র্কারে সেই সুযোগ পাননি মাহমুদউল্লাহ।
তাই তো হোল্ডারের কাছে শেষ বলটি অন্যতম সেরা মূহূর্ত, রাসেল যে বলটা শেষে করলো, অবশ্যই আমার সেরা মুহূর্ত। একটি বল, ৪ রান দরকার। ওই সময়ে অসাধারণ এক ইয়র্কারে ডট বল হওয়া… স্মৃতিতে থাকবে আজীবন। আশা করছি, সামনের ম্যাচগুলোতেও এমন কিছু হবে।