মাদককারবারিরা প্রদীপকে ফাঁসিয়েছেন: রানা দাশগুপ্ত
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৫ আসামি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় লিখিত বক্তব্যে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। একই সঙ্গে কোনও আসামি সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করেননি। সোমবার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জন তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেন। অপর আসামি এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের পক্ষে মঙ্গলবার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে।
আদালতের কার্যক্রম শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, সব আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। বিশেষ করে তার মোয়াক্কেল প্রদীপ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। মাদককারবারিরা তাকে ফাঁসিয়েছেন।
৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ শুরু হয়। যা চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে নিজেদের অপরাধের বিষয়ে সরাসরি জানতে চেয়েছেন। লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি ওসি প্রদীপসহ আসামিরা মৌখিকভাবে বিচারকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তবে এটাকে শেষ রক্ষার কৌশল বলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। তিনি জানান, ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, জেরা শেষ হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তারা যেমন রয়েছেন, তেমনি মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। এখানে সাক্ষীদের মাদককারবারি বলাটা অযৌক্তিক।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর এই মামলার আট আসামি তাদের বক্তব্য মৌখিকভাবে আদালতে উপস্থাপন করেন। সে সময় তারা সিনহা হত্যার ঘটনায় নির্দোষ দাবি করেছিলেন। অপর সাত আসামির বক্তব্য গ্রহণের জন্য ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়। যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এবার আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য নিচ্ছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।