বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে যাবে শিগগিরই: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
রোববার দুপুরে ফরিদপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া অভিভাষণে বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতে পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠনের ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন- জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল জলিল, প্রবীণ আইনজীবী মো. শাহজাহান মিয়া, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সাবেক পিপি ওলিয়ার রহমান প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতির ফরিদপুরে আগমন উপলক্ষে এদিন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষ ন্যায়বিচার পেতে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে আদালতের কাছে আসে। তাদের আইনি সেবা দেওয়ার নৈতিক দায়িত্ব আইনজীবীদের। আমাদের সবাইকে এ দায়িত্ব সহানুভূতি ও মানবতার সঙ্গে পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের কেবল জীবিকা নির্বাহের জন্য আইনের অনুসরণ না করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আইনজীবীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আদালত মানবাধিকার রক্ষার জন্য বিদ্যমান দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত একটি নীতি।আইনজীবীরা আইনি পেশায় যথাযথ নৈতিক মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত সফলতাগুলো বিপন্ন হতে পারে।
তরুণ আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের স্মরণে রাখতে হবে- আপনারা মানুষকে আইনি সেবা প্রদানের জন্য এই মহান পেশায় এসেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মহান লক্ষ্য থেকে কখনোই বিচ্যুত হবেন না। জাগতিক লোভ–লালসা আপনাদের যেন পেশাগত নীতি নৈতিকতা থেকে সরাতে না পারে, সে বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকবেন।