বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্য না এলে আমরা নিজস্ব অর্থেও তা মোকাবিলা করতে পারবো। কারণ, বাংলাদেশ এখন আর বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বর্তমান সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের সম্মেলনেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ক্ষতি ও প্রত্যাশার কথা অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে ও উচ্চস্বরে তুলে ধরবেন। শুক্রবার রাজধানী সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২১: বাংলাদেশের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, জনকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষিকে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লবণাক্ত-সহিষ্ণু, খরা-সহিষ্ণু, জলমগ্নতা সহনশীল, উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে আমাদের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের জাত এবং চাষাবাদ কেমন হওয়া উচিত, যেগুলোর ওপরেও আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা একটি বিষয় ছিল। আমরা চাল জাতীয় খাবারে অনেকটা নির্ভারশীল। যদি ভালো আবহাওয়া থাকে আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য হলো পুষ্টি জাতীয় খাবার। এটি আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি, আমরা পুষ্টি জাতীয় খাবার এবং সি ফুড মানুষকে দেব। এটাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ। এটা করার জন্য কৃষিকে আরও আধুনিক করতে হবে। মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর কথা বলেছি। একটি পত্রিকা নিউজ করেছে, মানুষ ভাত বেশি খায় এজন্য চালের দাম বেড়ে গেছে। এ ধরনের কথা আমি কোনো দিনই বলিনি। আমি এ প্রসঙ্গই আনি নি।
ড. রাজ্জাক বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য হলো আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল ও মেধাবী করার মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা কৌশলগত পরিকল্পনা করেছি। আমরা যখন সরকারে এসেছি তখন থেকেই এগুলো শুরু করেছি।