ফৌজদারি কার্যবিধি আধুনিকায়নে ৯ সদস্যের কমিটি
যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন ও বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হচ্ছে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি। এ লক্ষ্যে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবিরকে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ারকে কমিটির কো-চেয়ারপারসন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপ-সচিব শেখ গোলাম মাহবুব, যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, উপ-সচিব গাজী কালিমুল্লাহ ও যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মুনিরুজ্জামান।
খ. ফৌজদারি কার্যবিধির বাংলা ভাষায় প্রণয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান। গ. ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমানে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুপারিশ প্রদান।
ঘ. ফৌজদারি কার্যবিধির এবং এতদ্বসংক্রান্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইন পর্যালোচনাপূর্বক সুপারিশ প্রদান এবং,
ঙ. কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে কমিটিতে কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটি যত দ্রুত সম্ভব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে উপর্যুক্ত বিষয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন এবং এ সংক্রান্ত সংস্কার ও গবেষণাপূর্বক এটাকে যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন ও বাংলা ভাষায় প্রণয়নের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হককে নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার এই কমিটি করেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত উপর্যুক্ত ফৌজদারি কার্যবিধি দিয়ে বর্তমান চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিন প্রকৌশল ও ন্যানো প্রযুক্তির এই যুগে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলা পরিচালনা করা দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ। এ কারণে ফৌজদারি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং জনগণের আইনি অভিগম্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফৌজদারি কার্যবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন এবং এ সংক্রান্ত সংস্কার ও গবেষণাপূর্বক এটাকে যুগোপযোগী, আধুনিকায়ন ও বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা প্রয়োজন।